সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে শায়িত আছেন কসবার সূর্য সন্তান বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন

লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামে শায়িত আছেন কসবার সূর্য সন্তান বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন

মো.সাইদুর রাহমান খান

শহীদ আনোয়ার হোসেন বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা।
শহীদ আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। তার গেজেট নম্বর ৫৫।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন-
শহীদ আনোয়ার হোসেনের জন্ম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঐতিহ্যবাহী কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল হামিদ ভূঁইয়া এবং মায়ের নাম কুলসুমের নেছা। তার স্ত্রীর নাম ছায়েদা বেগম। তাদের এক মেয়ে। যিনি সপরিবারে ঢাকার উত্তরখানে বসবাস করেন।

কর্মজীবন
আনোয়ার হোসেন ১৯৭১ সালে কর্মরত ছিলেন দিনাজপুর ইপিআর সেক্টরের অধীন
রংপুর উইংয়ে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিরোধযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে তিনি যুদ্ধ করেন পাটগ্রামে।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা –
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের অন্তর্গত বুড়িমারী এলাকা যা ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। বর্তমানে এটি স্থলবন্দর। বুড়িমারীর ওপর দিয়ে লালমনিরহাট থেকে সড়ক-রেলপথ ভারতের আসাম রাজ্যে প্রবেশ করেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অধিকাংশ সময় বুড়িমারীসহ পাটগ্রাম মুক্ত এলাকা ছিল। বুড়িমারীতে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিরক্ষা অবস্থান। এখানে ছিলেন আনোয়ার হোসেনসহ একদল মুক্তিযোদ্ধা। এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে বা আধিপত্য বিস্তারের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায়ই সেখানে আক্রমণ করত। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপর আকস্মিক আক্রমণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। তখন সেখানে যুদ্ধ শুরু হয়। সেদিন বিপুলসংখ্যক পাকিস্তানি সেনা ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ যুদ্ধে অংশ নেয়। একপর্যায়ে তারা ব্যাপকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর চড়াও হয়। প্রচণ্ড আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তাদের দখলে থাকা বাংলাদেশ ভূমি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। আনোয়ার হোসেন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের এলএমজিম্যান। ভীষণ রকমের সাহসী ও মনোবল ছিল তার। বিপজ্জনক মুহূর্তে নিজ জীবনের কথা না ভেবে এলএমজিসহ ক্রল করে তিনি একাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থানের ভেতর ঢুকে পড়েন। তার ব্রাশফায়ারে হতাহত হয় কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। এরপর আনোয়ার হোসেন আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ঠিক তখনই একঝাঁক গুলির সম্মুখীন হন তিনি। গুলিতে তার সম্পূর্ণ শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায়। শহীদ হন আনোয়ার হোসেন।
পাটগ্রামের বাউরাবাজারের নিকটে অবস্থিত জম গ্রামে মসজিদের পাশে শহীদ আনোয়ার হোসেনকে মুক্তিযোদ্ধারা সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করেন। তার সমাধি সংরক্ষিত আছে।
তিনি ২৬ জুলাই ১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের সাথে সম্মুখ সমরে শহীদ হন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD